খুলনা, বাংলাদেশ | ২০ আষাঢ়, ১৪৩১ | ৪ জুলাই, ২০২৪

Breaking News

  কোটা আন্দোলন: শনিবার সারা দেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল ও রোববার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

গরুর মাংস বিতর্কে ভয়ে ছেলেকে স্কুলে পাঠাচ্ছেন না সুদীপা

বিনোদন ডেস্ক

কিছুদিন আগে বাংলাদেশে একটি রান্নার অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে হাজির হয়েছিলেন কলকাতার সঞ্চালক-অভিনেত্রী সুদীপা চ্যাটার্জি। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অভিনেত্রী তারিন জাহানের পাশে দাঁড়িয়ে গরুর মাংস রান্না শেখেন তিনি। এরপরই নিজ দেশে তোপের মুখে পড়েছেন এই তারকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা রীতিমতো আক্রমণ করছেন সুদীপাকে। কেউ কেউ ধর্ষণ ও খুনের হুমকিও দিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত সুদীপা। বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনকে বলেন, ‘ভালো থাকার চেষ্টা করছি। এতদিন হয়ে গেল আজও আমার ছেলেটাকে স্কুলে পাঠাতে পারিনি। কিছু দিন পর হয়তো পাঠাতে পারব। পুলিশ খুব সাহায্য করছে। ওরা জানিয়েছে, নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করবে।’

এর আগে নেটিজেনদের রোষানল পড়ে ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষমা চান সুদীপা। তার ভাষায়— ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী আবেগে আঘাত দেওয়ার জন্য। আগামী দিনে মাথায় রেখে চলব। আমার না সত্যি মাথায় আসেনি এটা হতে পারে।’

এরপর হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুদীপা চ্যাটার্জি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বিতর্ক জন্ম দিতে ভালোবাসেন। এর আগেও এটা দেখেছি। তবে তারা কেউই সত্যিটাকে জানতে চায় না। কেউই দেখেনি নিজের চোখে। যতজন এই নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট করেছে, তারা জানেই না পুরো ব্যাপারটা। আমি না গরুর মাংস খেয়েছি, না গরুর মাংস রান্না করেছি।’

সুদীপা আরও যোগ করেন, ‘কোরবানির ঈদ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম। তাদের দেশের জাতীয় খাদ্যের মধ্যে পড়ে গরুর মাংস। কারো ধর্মীয় রুচিতে বাধা দেওয়া আমার শিক্ষার মধ্যে নেই। আমি যদি নিজের ধর্মকে সম্মান করি, তাহলে অন্যের ধর্মাচরণে বাধা দিতে পারি না, এটা আমার মত।’

ঠিক কী কারণে গণ্ডোগোল, কোথায় ভুল হয়েছে তা জানাতে গিয়ে সুদীপা বলেন, ‘তারিন জাহান অনুষ্ঠানটি শুরু করতে গিয়ে (যে ভিডিও ক্লিপটি ছড়িয়েছে) সেখানে ভুলবশত বলে ফেলেন, সুদীপা আজকে তোমায় আমি গোরুর মাংস রান্না করে খাওয়াব। তারিণ আর আমি ভালো বন্ধু। খুব সুন্দর আড্ডা দিচ্ছিলাম, বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। তখন ও একজন বন্ধুকে ওয়েলকাম করতে গিয়ে কথাটা বলে ফেলছে, কিন্তু বলেই সঙ্গে সঙ্গে ঠিক করে নিয়েছে। তবুও সমালোচনা চলছে।’

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!